,

কম টাকায় চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরোগ্যের বদলে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে :: সাধুরবাজারে ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে প্রতারণার অভিযোগ

জুয়েল চৌধুরী : সদর উপজেলার রাজিউড়া ইউনিয়নের সাধুরবাজারে ভূয়া ডাক্তার পদবী ব্যবহার করে এক ব্যক্তি চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তার খপ্পড়ে পড়ে গ্রামের সহজ সরল মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। পাশাপাশি ওই কথিত ডাক্তার শূন্য থেকে লাখ লাখ টাকার মালিক বনে যাচ্ছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে সাধুর বাজারে পাল ফার্মেসীর মালিক নান্টু চন্দ্র পাল, ডাক্তার পদবী ব্যবহার বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করে যাচ্ছেন। তার কাছে সাধুরবাজার, তেলিখাল, কাটাখালি, সুকচর, উচাইল, শংকরপাশাসহ বিভিন্ন গ্রামের সহজ সরল মানুষ চিকিৎসা নিতে এসে প্রতারিত হচ্ছেন। অনেকে আবার তার কাছে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আরও জটিল ও দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হয়েছেন।
ডাক্তার না হয়েও নামের আগে ডাক্তার লিখে দিব্যি তিনি প্রতারণা করে যাচ্ছেন। খবর নিয়ে জানা গেছে, তিনি পল্লী চিকিৎসক। ৬ মাস মেয়াদী কোর্স করেছেন। এরপরও বাজারে ডাক্তার পদবীর সাইনবোর্ড ব্যবহার রোগীদের আকৃষ্ট করছেন। তার নিয়োজিত দালাল চক্র রয়েছে। যারা গ্রামগঞ্জের সহজ সরল মানুষদের কম টাকায় চিকিৎসা করানোর কথা বলে কমিশনের মাধ্যমে তার কাছে নিয়ে আসে। সুযোগ বুঝে অনেকের কাছ থেকে তিনি অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন। অনেক রোগী অভিযোগ করেন, জনপ্রতি তিনি ২শ টাকা করে ভিজিট নিয়ে থাকেন। চিকিৎসার সময় সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা, বিকাল ৪ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত। অভিযোগ রয়েছে, প্রয়োজন না হলেও তিনি রোগীদের বিভিন্ন অপ্রয়োজনীয় ওষুধ লিখে দিচ্ছেন। ওষুধগুলো আবার তার ফার্মেসী থেকেই কিনতে হচ্ছে। আর এসব ওষুধ সেবন করে অনেকেই আরোগ্যের বদলে আক্রান্ত হচ্ছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত নান্টু পাল চিকিৎসা করার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পল্লী চিকিৎসক হলেও ডাক্তার পদবী ব্যবহার করা যায়। তবে এ বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেন সিভিল সার্জন নুরুল হক। তিনি বলেন, কোন ফার্মাসিস্ট বা পল্লী চিকিৎসক কিংবা যারা এখনও অধ্যয়নরত তারাও ডাক্তার পদবী ব্যবহার করতে পারবেন না। এমন যদি কেউ করে থাকে তবে সরেজমিনে তদন্ত করে এবং ড্রাগ সুপারের সাথে কথা বলে ওই কথিত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর